নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সোনারগাঁ উপজেলার টিপুরদী এলাকায় অবস্থিত চৈতি গার্মেন্সে রিনা আক্তার (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ী ভাংচুর করেছে শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ সহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
চৈতি গার্মেন্সে কর্মরত সুইং অপারেটর রুমা আক্তার ও লাইন ম্যান পংকজ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার মূল ভবনের তিন তলায় ১২ নং লাইনে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন রিনা আক্তার নামে এক শ্রমিক। তাকে ওই লাইনের ইনচার্জ জামাল সহ কয়েক জন নির্যাতন করে হাত পা বেধে বাথরুমে ফেলে রাখে। পরে অন্য শ্রমিক বাথরুমে গেলে বিষয়টি দেখে নাজমা আক্তার সহ দুজন শ্রমিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কারখানার কর্তৃপক্ষ দুপুর ১টায় কারখানা বিরতি দেওয়ার কথা থাকলে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগেই বিরতি দিয়ে দেন।
পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্রæত রিনা আক্তার নামে হাত পা বাধা শ্রমিককে গাড়ীতে করে কারখানা থেকে বের করে নেয় এবং পরের গাড়ীতে আহত দুই শ্রমিককে গাড়ী দিয়ে বের করার সময় শ্রমিকরা গাড়ী ভাংচুর করে আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে মহাসড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এক ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ, কাচঁপুর শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম সহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
কারখনার শ্রমিক হালিম মিয়া জানান, চৈতি গার্মেন্স কখনও নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বিরতি দেয়না। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৩০ মিনিট আগেই দুপুরের খাবারের বিরতি দেন কর্তৃপক্ষ।
কারখানার উপ মহা ব্যবস্থাপক বদরুল আলম জানান, কারখানায় একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গুজবে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে ভাংচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কারখানা ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ) অঞ্চল খোরশেদ আলম জানান, কারখানায় শ্রমিক নিহত হওয়ার খবরে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।